শারদীয়, ১৪২৯
Poems/কবিতা
ঘি-ভাত
প্রাণজি বসাক
দেশি চালে গরম জল তাতে ফেলি চারটি ভিন্ডি চার টুকরো করলা দুখণ্ড কাঁচা মিষ্টি কুমড়ো সকাল সকাল রুটিনে। টগবগ ফুটছে। পনেরো মিনিটে কামাল। মাড় গেলে রাখি একাকিত্বে। দু-চার লাইন লিখতে বসে শারীরবৃত্তের রসায়ন মনে পড়ে। আমেরিকা যাবার দিন হাতে বানানো ঘি রেখে গেছে দেবিকা বকশি আমার সদব্যবহারের সংকল্পে। একটু টাটার মিহি নুন লাগবে এই যা। করলা টুকরো মাখা যেতে পারে সামান্য অসামান্য হাতের ঘি ফেলে। বেশ জমবে।
হোয়াটসঅ্যাপে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বক্রপথে আসে উপদেশ। বাংলার শরীর ভেঙে গেছে। মন কারো উদ্যোগে সংশোধিত রূপ নিয়ে এগিয়ে চলছে। জীবনটা জীবনের পাকদণ্ডি বেয়ে উঠতে উঠতে পার করে দেয় অজানা পরাও।
জমাট বাঁধা হাতে বানানো দেবিকা বকশির দিয়ে যাওয়া ঘি অতঃপর গলে গলে নামছে ভাতের ঢিবিতে। পরিমাপ মতো গ্রাস গ্রহণ করার মুহূর্তে আলো নয় অন্ধকার নেমে আসে চারদিক থেকে।
যেও না যেও না বন্ধু এখনো রাতের অনেক দেরি।
আমার আপাত হাহাকার কেউ ধ্যান দিলে না। এমন দূরূহ পরিস্থিতিতে ঘি-ভাত চমৎকার আলোময় হয়ে রয় ওঠে। একটা সুগন্ধি বাতাস ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় আঁধার।