প্রথম বর্ষ চতুর্থ সংখ্যা - শারদীয়া, ২০২০
Poems/কবিতা
ইমনটা কেনে
সরিত ঘোষ
ভুখা লাল মাটির দ্যাশের লদীটো,
মোরাম পাত্থর চুমে বইছে একটানা,
তির তির কইরে, উর লিজের ছন্দে।
পাশে ডাহুক-বকের ঝাঁক, ঠুইকরে ফিরছে, উদের খাবার।
জেলেনি মেয়েগুলান, ঝুপড়ি জালে মাছ ধইরছে,
কোমরের পিছের ঝুড়িতে জমাইছে,
বেলাবেলি বিকাইবে, গাঁয়ের ভিত্তরে,
তারপরে ঘর ফিরে, রান্না-খাওয়া,
লদীতীরের পরিযায়ী ওরাও, ওই পাখির ধারা।
কত্ত মানুষগুলান, নানা ঠাঁই থেইক্যে ফিরলেক ঘরকে,
কেউ হেঁটে হেঁটে, কেউ বা ভাড়া গাড়িতে,
পথেই মইরলে কতক, হিসেব লাই তার।
কিছুদিন রইলেক ঘরে, বউ-বিটার সনে,
খাবার লাই, উপায় লাই, পরণের তেনা জুটে না,
উরা ফের পাড়ি জমাইলে, দূরপানে,
জেবনটা বাঁচানোর লেগ্যে, অজানা ঠাঁইয়ে,
যদি জুটে কিছু, ওই বক-ডাহুকের পারা,
ইরাও পরিযায়ী বটেক, তুমাদের কথ্যায়।
ইমনটা কেনে হল্যো বইলবে,
মুরাতো স্বাধীন বটে, ই মুলুকটাও লিজেদের,
তব্যে কিনো এত অভাব, ইতো কাঁদন,
কেনেগ্যো কিসের লাগ্যি?
কুন এক মহামারী রোগ এইসে পইড়লে,
আর আমরা মইরছি, ধুঁইকছি নিত্যি দিন,
ঘরে মইরছি, হাসপাতালে মইরছি,
ঘুরে ফিরছি হুই পাখিগুল্যার মত্যো,
ইটাই কি পাওনা মুদের, ই স্বাধীন দ্যাশে,
কি বলেন গো বাবুরা,
ইটাই কি স্বাধীনতা, ই মরার দ্যাশে?