Society, Language and Culture
সমাজ, ভাষা ও সংস্কৃতি

(A Multidisciplinary Peer-Reviewed Journal)
A Unit of Society, Language and Culture Trust
ISSN: 2583-0341

প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা - আগস্ট, ২০২০

Short Stories/ছোটগল্প

আক্রান্তের আখ্যান

ময়ূখ লাহিড়ী


‘‘কি রে! এইটুকুতেই হাঁপিয়ে পড়লি! তুই তো এত ভালো দৌড়তিস!’’

অমলের কথা শুনে চমকে উঠল সইফুল। এতদিন ওরা একসঙ্গে কাজ করছে, কই! আগে তো কখনও দৌড়নোর ব্যাপারে কিছু বলেনি অমল! কিছুটা নিজের অজান্তেই সইফুল জিজ্ঞেস করে বসল, ‘‘আমি যে দৌড়তাম সেটা তুই জানলি কি করে?’’ হাসল অমল। বলল, ‘‘মনে নেই! সেই যেবার জেলা স্পোর্টসে তুই সেকেন্ড হলি! ফার্স্টই হতিস। কিন্তু শেষের একটু আগে পা-টা মচকে গেল, কবীর তোকে টপকে গেল। আমিও নাম দিয়েছিলাম। কিন্তু হিট থেকে আর ফাইনালে উঠতে পারিনি।’’

মনে আর নেই! মচকে যাওয়ার পর পা ফুলে ঢোল। পাড়ার ডাক্তারবাবু বলেছিলেন, লিগামেন্ট ছিঁড়েছে, অপারেশন করতে হবে। কিন্তু টাকা কোথায়? ট্রেনে ট্রেনে ঘুরে বাবার ঝালমুড়ি বিক্রি করা, আর ঘোষবাবুদের বাড়িতে মায়ের ঘুঁটে দেওয়ার কাজ। এই সামান্য সম্বলেই ছোটবেলা কেটেছে সইফুল আর ওর বোন সাবিনার। বাবা বলেছিলেন, ‘‘আমি তো কিছু করতে পারলাম না। তুই মন দিয়ে পড়াশোনা কর। দেখিস, একটা কিছু ব্যবস্থা ঠিক হয়ে যাবে।’’ খুব জোরে দৌড়তে পারত সইফুল। স্কুলে ফার্স্ট হয়েছিল দৌড়ে। হেডমাস্টারমশাই বলেছিলেন, ‘‘জেলা স্পোর্টস থেকে স্কুলে অনেকদিন কোনও প্রাইজ আসেনি রে সইফুল! দেখ, এবার নিয়ে আসতে পারিস কি না।’’ হেডমাস্টারমশাইয়ের কথাগুলো তাতিয়ে দিয়েছিল সইফুলকে। তার থেকেও বেশি তাতিয়েছিল জেলা স্পোর্টসের নগদ পাঁচশো টাকার প্রাইজ। কিন্তু পা-টা মচকে যাওয়ার পর অ্যাথলিট হওয়ার স্বপ্নে দাঁড়ি পড়ে গিয়েছিল।

এখনও ভোগায় পা-টা। বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও গোড়ালির কাছটা টনটন করে। হাঁটতেও পারে না খুব বেশি। বড়জোর আধঘণ্টা। তারপরে একটু না বসলেই নয়।

কিন্তু এখন সইফুল আর অমলদের দাঁড়ানোরও ফুরসত নেই। আজ দিনকয়েক হল গুরগাঁও থেকে রওনা দিয়েছে ওরা। সইফুল, অমল, তপন, শেখর, তারেক এবং আরও অনেকে। বেশিরভাগেরই বাড়ি মালদা আর মুর্শিদাবাদে। কয়েকজন অবশ্য বর্ধমান আর বীরভূমেও যাবে। দিন পনেরো আগেও জীবনটা একেবারে অন্যরকম ছিল। কারখানায় যাওয়া, দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফেরা, সন্ধেয় নিজেদের মধ্যে আড্ডা, বাড়িতে ফোন। তারপর রাতের খাওয়া সেরে দশ ফুট বাই দশ ফুট ঘরে পাঁচজন মিলে ঠাসাঠাসি করে ঘুমোনো। তবু মাসের শেষে খাওয়া-পরার জন্য কিছু টাকা পাঠাতে পারত দেশের বাড়িতে।

ক’দিন আগে সন্ধেবেলা কয়েকজন মিলে রেডিও শুনছিল ওরা। হঠাৎ খবরে বলল, করোনা বলে নাকি একটা রোগ শুরু হয়েছে। জ্বর, শ্বাসকষ্ট হয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই মারা যাচ্ছে মানুষ। তার পরদিনই বাড়িওয়ালা এসে বলল, ‘‘এখানে আর তোমাদের থাকতে দিতে পারব না। টিভিতে বলছে, এক জায়গায় বেশি লোক থাকা যাবে না। তোমরা অন্য জায়গায় থাকার ব্যবস্থা কর।’’ সবাই তো অবাক! কারও মুখে কথা নেই। শেষমেশ তপন বলল, ‘‘দেখুন, এভাবে তো হুট বললেই বাড়ি ভাড়া পাওয়া যায় না। মাসখানেক সময় দিন।’’ ‘‘তিন দিন সময় দিতে পারি। আমার বাড়িতে বউ-বাচ্চা আছে। বৃদ্ধা বাবা-মা রয়েছেন। তোমাদের থেকে তাদের করোনা হলে কে সামলাবে!’’ ঝাঁঝিয়ে উঠেছিলেন বাড়িওয়ালা সিংজি। পরের দিন থেকেই বাড়ি খোঁজা শুরু করেছিল ওরা। কিন্তু সব জায়গায় একই অবস্থা। কেউ ওদের থাকতে দিতে রাজি নয়। অন্যান্য বাড়িতে যারা ভাড়া ছিল তাদেরও বলতে গেলে এক রাতে উৎখাত করে দিয়েছে। কারওর মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। কোনওক্রমে এর-ওর বাড়ির নিচে লুকিয়ে লুকিয়ে দুটো রাত কাটিয়েছিল ওরা। তারপর আরও দু’দিন খোলা মাঠে। এর পরের দিন কারখানা বন্ধ করে দিল মালিক। সরকার নাকি হুকুম দিয়েছে, এখন লকডাউন। কলকারখানা, দোকানপাট, অফিস, স্কুল-কলেজ, ট্রেন, বাস সব বন্ধ।

এখন কী করা যায়! উপায়টা বাতলেছিল অমলই। বলেছিল, ‘‘চল, হাঁটা শুরু করি।’’ প্রতিবাদ করেছিল সইফুল, ‘‘তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে! হাজার মাইল রাস্তা হেঁটে যাবি!’’ ‘‘মাথা ঠান্ডা কর, সইফুল। দেখ, এখানে কাজ না করে কতদিন বসে থাকব আমরা? নিজেদের খরচ আছে, বাড়িতেও টাকা পাঠাতে পারব না। বাড়িতে ওরা খেতে পাচ্ছে কি পাচ্ছে না, সেটা পর্যন্ত জানতে পারব না। আর দেখ, হাইওয়ে ধরে যাব। রেললাইনের পাশ দিয়েই। ট্রেন চালু হলে কাছাকাছি কোনও স্টেশনে গিয়ে ট্রেন ধরে নেব’’, বলেছিল অমল। কথাটা মনে ধরেছিল সকলেরই। সত্যিই তো! ট্রেন আর কতদিন বন্ধ থাকবে!

কিন্তু এখন হাঁটতে হাঁটতে আর দিনক্ষণের হিসাব নেই কারওরই। দু’দিন আগে অমল বলছিল, ‘‘কি রে, সইফুল! আজ তো শুক্রবার! নামাজ পড়বি না?’’ ‘‘না রে, বসলে আর উঠতে পারব না’’, বলেছিল সইফুল। আসলে বার-তারিখ কিছুই আর মাথায় নেই সইফুলের। শুধু ভাবছে, সামনের রাস্তাটা কখন গিয়ে ওর গ্রামের বাড়ির দরজার সামনে শেষ হবে।

আচ্ছা, বাড়িটা আদৌ আছে তো! মাঝে একদিন বেশ হাওয়া দিচ্ছিল, মেঘলা ছিল, হাঁটতে অন্য দিনের থেকে কম কষ্ট হচ্ছিল। হঠাৎ একটা চায়ের দোকান খোলা পেয়ে ওরা চা-পাঁউরুটি খেতে ঢুকেছিল। সেখানেই শুনল, দীঘার দিকে নাকি একটা সাংঘাতিক ঝড় এসেছিল। তছনছ করে দিয়েছে সবকিছু। অনেক বাড়ি-ঘর, গাছপালা ভেঙে গেছে। মারাও গিয়েছে অনেক লোক। আচ্ছা, সইফুলের বাড়ির উপর দিয়ে ঝড়টা যায়নি তো! সাবিনা, ইয়াসিন ওরা সবাই ঠিক আছে তো! শিবুদাদু বুড়ো মানুষ। ওনার কিছু হয়নি তো! অন্য সময় হলে ফোনে সকলের খবর নিতে পারত। কিন্তু এই ক’দিন কোথাও চার্জ দিতে পারেনি মোবাইলটা।

* * * * * *

ছোটবেলায় শিবুদাদুর বাড়িতেই পড়ে থাকত সইফুল আর সাবিনা। দাদু আর শিবুদাদু ছোটবেলার বন্ধু ছিলেন। ইন্টারমিডিয়েট থেকে দু’জনে একই স্কুলে পড়তেন। তখন থেকেই বিপদে-আপদে একে অপরের পাশে দাঁড়াতেন, যখন যেভাবে পারেন। দাঙ্গার সময় শিবুদাদু রাতারাতি পদ্মা পেরিয়ে এদিকে চলে এসেছিলেন। সঙ্গে এসেছিলেন দাদুও। স্থাবর সম্পত্তির অনেকটাই চলে গিয়েছিল নদীর গর্ভে। বাকিটুকুর জন্য কোনওভাবেই শিবুদাদুর বন্ধুত্ব খোয়াতে রাজি ছিলেন না দাদু।

সইফুল দেখত, দাওয়ায় বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প করতেন দাদু আর শিবুদাদু। যশোর, পাবনা, খুলনা, ইলিশ, শুঁটকি আরও কত কি! ওঁদের গল্প শুনতে শুনতেই নিজেদের মনে মনে ওদের পুরোনো বাড়ি, দেশ এসব সম্পর্কে ছবি এঁকে ফেলত সইফুল। বাড়ি থেকে ঘণ্টাখানেক হেঁটে মাঝেমাঝে চলে যেত গঙ্গার ঘাটে। ওই পাড়টা বিশেষ দেখতে পেত না। কেমন যেন আবছা, ধোঁয়া ধোঁয়া।

দু’দিনের জ্বরে হঠাৎ সইফুলদের জীবন থেকে চলে গিয়েছিলেন দাদু। শিবুদাদুকে সামলানোই তখন কঠিন হয়ে উঠেছিল। দাদুকে গোর দেওয়ার সময়ও পাশে ছিলেন শিবুদাদু। ওঁর দুই ছেলে গোরাকাকু আর বিশুকাকুকে কলকাতায় পড়তে পাঠিয়েছিলেন শিবুদাদু। গ্রামের বাড়িতে উনি আর গীতাদিদাই থাকতেন। নিশ্চিন্তে ছিলেন, প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে একটা ডাক দিলে সইফুলদের বাড়ি থেকে কেউ না কেউ আসবেই। সইফুল, সাবিনাদের মাঝেমাঝে ডেকে বলতেন, ‘‘কই! তোরা তো আর গল্প শুনতে আসিস না!’’ গোরাকাকুরা চাকরির কারণে বিশেষ আসত না গ্রামের বাড়িতে। গীতাদিদা যখন অসুখ হয়ে একেবারে বিছানায় পড়ে গেলেন তখনও সইফুলের মা আর সাবিনাই সব ব্যবস্থা করে দিয়ে আসত। গীতাদিদা চলে যাওয়ার পর বড্ড একা হয়ে গিয়েছিলেন শিবুদাদু। সারাদিন অদ্ভুত চোখে চুপ করে তাকিয়ে থাকতেন। কথা বলতেন খুব কম। গুরগাঁও আসার আগের দিন শিবুদাদুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল সইফুল। বলেছিল, ‘‘সাবধানে থেকো, দাদু!’’ মারণ-ঝড় সত্যিই সাবধানে থাকতে দিয়েছে তো বুড়ো মানুষটাকে!

* * * * * *

এতসব ভাবতে ভাবতে কিছুটা বেখেয়ালেই রাস্তা হাঁটছিল সইফুল। অমলরা কথা বলছিল। কিন্তু সইফুলের কানে সেসব কথা বিশেষ ঢুকছিল না। হঠাৎ অনেকটা জল সজোরে এসে লাগল সইফুলের গায়ে। চমকে উঠল ও। ‘‘আরে! কী করছেন! কী করছেন!’’ চিৎকার করে উঠল তপন। সইফুলের চোখের সামনে তখন সব ঝাপসা, তোড়ে জল এসে লাগছে চোখে-মুখে। ‘‘এভাবে কিছু না বলে-কয়ে হঠাৎ হোসপাইপ দিয়ে জল ছেটাচ্ছেন কেন?’’ তেড়ে উঠল অমল। সইফুলের দৃষ্টি ততক্ষণে কিছুটা পরিষ্কার হয়েছে। কিন্তু চোখে জ্বালা করছে খুব। তার মধ্যেই তাকিয়ে দেখল একইরকম জামা পরা দশ-পনেরোজন লোক দাঁড়িয়ে। তাদেরই একজনের হাতে হোসপাইপ। তাদের নেতা গোছের একটা লোক এসে বলল, ‘‘জানো না, দেশে লকডাউন চলছে? বেরিয়েছ কেন? সবক’টাকে জেলে ভরে দিলে ঠিক হয়! এটা জল নয়, স্যানিটাইজার। কোত্থেকে কীসব জীবাণু নিয়ে আসছ কে জানে! তাই স্যানিটাইজার দিয়ে একটু ধুইয়ে দিলাম। বাড়ি যাও, বাড়ি যাও!’’

দাঁতে দাঁত চেপে এগিয়ে গেল শেখর। বলল, ‘‘দাঁড়া তো! অসভ্যতা বের করছি এদের! পা চালা সবাই। সামনে দেখ, একটা টোল ট্যাক্সের জায়গা রয়েছে। ওখানে নিশ্চয়ই পুলিশ থাকবে!’’

মিনিট দশেকের মধ্যেই টোল ট্যাক্সের কাছে পৌঁছে গেল ওরা। হাবিলদার গোছের একটা লোক ওদের হাত দেখিয়ে দাঁড় করাল। তারপর ডাকল বড়সাহেবকে। ‘‘কেন বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন, ভাই? এত লোক মারা যাচ্ছে, একটুও কি কাণ্ডজ্ঞান নেই আপনাদের? কীরকম পরিস্থিতি হলে সরকার লকডাউন ঘোষণা করে! সেটা মানতে এত অসুবিধা আপনাদের!’’, এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে গেলেন বড়সাহেব। মুখ খুলল শেখরই। বলল, ‘‘স্যার, আমাদের থাকার জায়গা নেই। কাজও নেই। জানি লকডাউন। তাই বাড়ি ফিরছি। ট্রেন তো চলছে না। তাই হেঁটেই ফিরছি।’’ শুনে যেন কিছুটা নরম হলেন বড়সাহেব। হাবিলদারকে ডেকে কি যেন বললেন। হাবিলদারটি ওদের হাতে দু’প্যাকেট পাঁউরুটি আর দু’বোতল জল দিয়ে বলল, ‘‘এখানে আর দাঁড়িয়ো না।’’

যেতে যেতে সইফুলরা শুনতে পেল বড়সাহেব ফোনে কাকে যেন বলছেন, ‘‘এভাবে কি কন্ট্রোল করা সম্ভব স্যার! মানুষগুলো যাবে কোথায়?’’

* * * * * *

‘‘দাদা!’’ সইফুলকে দেখে চমকে উঠল সাবিনা, ‘‘উফফ! একটা খবর দিতে পারিস না! ফোনটাও অফ করে রেখেছিস!’’ বোনের মাথায় হাত বুলিয়ে সইফুল বলল, ‘‘এসেই তো পড়েছি। আর কিসের চিন্তা!’’

চিন্তা কিসের সেটা সইফুল ভালোই জানে। ট্রেন বন্ধ। তার সঙ্গে বাবার ঝালমুড়ি বিক্রিও। মা-কেও ঘোষবাবুরা এখন আসতে বারণ করে দিয়েছে। সংসারের পুরো দায়িত্ব এখন সইফুলের। কিন্তু কি-ই বা করতে পারে ও! বাড়ির সকলের মুখে ভাত জোটাতে উদয়াস্ত খাটতে রাজি আছে ও। কিন্তু কাজ কোথায়?

এমন সময় হঠাৎ সাবিনার গলা, ‘‘দাদা! চল এক্ষুনি বেরোতে হবে!’’ ‘‘কোথায়?’’, জিজ্ঞেস করল সইফুল। ‘‘স্কুলে কাল সবাইকে চাল দেবে। এখন থেকে লাইন পড়ে গেছে! চল চল!’’, বলল সাবিনা। ‘‘এখন থেকে গিয়ে সারা রাত মাঠে লাইন দিয়ে বসে থাকবি? দিনকাল ভাল না, সাবিনা। তুই থাক। আমি যাচ্ছি’’, বলল সইফুল। তারপর একটু ভেবে বলল, ‘‘আচ্ছা, এক কাজ কর। তুই এখন গিয়ে লাইনটা দে। আমি একটু কিছু খেয়েই যাচ্ছি।’’

স্কুলের মাঠে গিয়ে হতভম্ব হয়ে গেল সইফুল। লোকে লোকারণ্য। এর মধ্যে কোথায় লাইন? সেই লাইনেরই বা কোথায় আছে সাবিনা? কিছুক্ষণ কাটার পর সইফুল বুঝতে পারল, লাইনটা আসলে সাপের মতো এঁকেবেঁকে গিয়েছে। একেবারে পিছন থেকে খুঁজতে শুরু করল সাবিনাকে। কিন্তু অনেকটা এগিয়েও পেল না। লাইনের আরও সামনের দিকে এগোতে সাবিনাই ডাকল তার দাদাকে। ‘‘কি রে! এতটা এগিয়ে গেলি কী করে?’’, অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল সইফুল। সাবিনা বলল, ‘‘খুব মারামারি হচ্ছিল রে! তারপর একটা লোক এসে বলল, লাইন না দিলে কেউ চাল পাবে না। তখন দৌড়ে সামনে চলে এসেছি।’’

আবার দৌড়। অসুখের দৌড়। পাওয়ার দৌড়। বেঁচে থাকার দৌড়।